কিডনি বাঁচাতে পানি খাওয়ার সঠিক নিয়ম-drinking water to save the kidneys


কিডনি বাঁচাতে পানি খাওয়ার সঠিক নিয়ম


কিডনি বাঁচাতে পানি খাওয়ার সঠিক নিয়ম-drinking water to save the kidneys- studyhouse365 by mm mahadi hasan

 কিডনি বাঁচাতে পানি খাওয়ার সঠিক নিয়ম-drinking water to save the kidneys
আমাদের আলোচনার বিষয় কিডনি ভালো রাখতে হলে কি পরিমাণ পানি আমরা খাব কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পানি বেশি খাওয়ার সাথে কিডনি ভালো রাখার কোন সম্পর্ক নেই।
কতটুকু পানি আমরা খাব সেটা কিন্তু আমাদের শরীর বলে দেবে।পিপাসা লাগলে পানি খাব এবং পিপাসা না লাগলে পানি খাব না। যদি কারোর কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের জন্য পরিমিত পানি খাওয়ার একটা ব্যাপার আছে। কিডনি সুস্থ রাখার জন্য খুব বেশি পানি খেলে যে কিডনি ভালো থাকবে এই ধারণাটা ঠিক নয়।
সুতরাং যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই পানি আমরা খাব। পানি বেশি খাওয়ার সাথে কিডনি ভালো থাকার সরাসরি কোনো যোগাযোগ নেই। পানি আমরা কম খাব না এবং পিপাসা না লাগলে অতিরিক্ত খাব না সুতরাং আমরা পানি পরিমিত খাব নিয়মিত খাব প্রয়োজনমতো খাব অতিরিক্ত পানি খাব না।তবে যদি কারো কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেখানে ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা পরিমিত পানি খাব সেটা শুধু রোগীর ক্ষেত্রে সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে পানির জন্য কোন নিয়ম নির্ধারিত করা নেই।

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন আমরা কি পরিমাণ পানি খাব ?  

কত লিটার পানি খাব? 

এটি একটি কমন প্রশ্ন কিন্তু এখানে উত্তর দেওয়াটা খুবই একটা কঠিন বিষয়।একটা মানুষের পানির প্রয়োজন নির্ভর করে তার শরীরের গঠন তার উচ্চতা তার বয়স এবং কোন এনভায়রনমেন্টে ওই লোকটা কাজ করে এই সবকিছুর উপরে নির্ভর করে কতটুকু পানি তার খাওয়া প্রয়োজন।

যেমন যে শ্রমিক রোদের মধ্যে বাহিরে কাজ করে তার জন্য পানির পরিমাণ একটু বেশি যে রোদে কাজ করে না তার জন্য পানির পরিমাণ একটু কম ছোট একটা বাচ্চার পানির পরিমাণ কম গর্ভবতী মায়ের পানির পরিমাণ একটু বেশি সুতরাং একেবারেই বলে দেওয়া খুব মুশকিল যে আপনার পানির পরিমাণ কতটুকু খাওয়া উচিত এবং কত লিটার পানি আপনি খাবেন কত লিটার পানি আপনি খাবেন না তবে এটা আপনি বিবেচনা করে নিবেন যে আপনি সারাদিনে কতটুকু পরিশ্রম করেন এবং আপনার কতটুকু পানি খাওয়া প্রয়োজন। তবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ বলে থাকেন একজন সুস্থ মানুষের জন্য 24 ঘন্টায় দেড় থেকে দুই লিটার পানি খাওয়া দরকার। এর থেকে বেশি একটা সুস্থ মানুষের পানি খাওয়ার প্রয়োজন নেই। সুতরাং আমরা এভাবেই পানির ব্যাপারটা সমাধান করবো এবং আমরা সুস্থ থাকব।

চলুন এবার জেনে নেই পানি খাওয়ার সঠিক পদ্ধতিঃ


তৃষ্ণা মেটাতে পানির কোনো বিকল্প নেই কিন্তু পানির তৃষ্ণা যখন পায় তখন আমরা ঠিক পদ্ধতি মেনে কজনই বা পানি পান করি। পানির অপর নাম জীবন এটা কমবেশি আমাদের সবারই জানা কিন্তু পানি পান করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানেন কি? ভাবছেন পানি পান করার আবার কি নিয়ম হতে পারে? হ্যাঁ হ্যাঁ পানি পান করার নিয়ম আছে। পানি পান করার কিছু নিয়ম আছে যখন তখন ইচ্ছে হলেই পানি পান করা যায় না পানি শুধু আমাদের তৃষ্ণা মেটায় না এটা শরীরে পানির মাত্রা ঠিক রাখে খিদে কমায় এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে। জেনে রাখুন পানি পানের সঠিক নিয়ম এতে আমাদের শরীরের অনেক উপকার হবে।

১.সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি খেতে হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে সকালে ঘুম থেকে উঠে এক থেকে দুই গ্লাস পানি পান করলে দেহের কর্ম ক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। ঘুম থেকে উঠেই পানি পান করলে শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান বেরিয়ে যায় ফলে রোগের আশঙ্কা একেবারেই কমে যায়।

২. গোসলের আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিতে হবে।
এতে শরীরের রক্ত চলাচলের গতি ঠিক থাকবে।

৩. দিনের অগ্রভাগে বেশি পানি পান ওরা যত বাড়তে থাকবে পানি পানের হার তত কমতে থাকবে। এমনটি বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

৪. খাবার পরপরই পানি খাওয়া ঠিক নয়। খাবার খাওয়ার 30 থেকে 45 মিনিট পর পানি পান করুন। কারণ খাবার খাওয়ার পর প্রায় আধঘন্টা সময় নেয় স্বাভাবিক পাচন প্রক্রিয়ার জন্য এর মাঝে পানি পান করলে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে যার ফলে দেখা যায় নানা রকম হজমজনিত সমস্যা।চিকিৎসা বিজ্ঞানীর মতে গরগর করে নয় চুমুক দিয়ে পানি পান করুন। চুমুক দিয়ে পানি পান করাই হলো পানি পান করার সবচেয়ে ভালো উপায়। আমাদের মুখে আমরা প্রচুর পরিমাণে লালা উৎপন্ন করে। লালা ক্ষারীয় একটি উপাদান এবং আমাদের পেটে হাইড্রোক্লোরিক এসিড আছে আমাদের মুখের লালা সেই এসিডকে স্থির রাখে। ঢকঢক করে পানি পান করলে শুধুমাত্র পানি পান করাই হয় আমাদের পাকস্থলী পর্যন্ত পৌঁছায় না সম্পূর্ণ পরিবেশ তাই এসিড যুক্ত হয়ে থাকে সুতরাং গল্প অল্প অল্প চুমুক দিয়ে পানি পান করুন।

৫. সব সময় বসে পানি পান করুন।
ভুলেও দাঁড়িয়ে পানি পান করবেন না ধর্মীয় মোটেও দাঁড়িয়ে পানি পান করা নিষেধ আছে এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হল যখন আমরা দাঁড়িয়ে পানি পান করি তখন প্রাণীটি আমাদের দেহের ভিতর কয়েকটি স্থানে ছাগলের মত থেকে পাকস্থলীতে যায়। যদি আমরা দাঁড়িয়ে পানি পান করি তাহলে সেই ঝাকুনি পদ্ধতি গুলো ঠিকঠাক ভাবে কাজ করে না সুতরাং পানির সাথে যতগুলো ক্ষতিকর কোন পদার্থ থেকে থাকে তাহলে সরাসরি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে সুতরাং সর্বদা বসে পানি পান করুন।

৬. একবারে বেশি পানি পান না করে অল্প অল্প করে অনেকবার পানি পান করুন অনেকেই আছে যারা পানি পান করার সময় একবারে অনেক মাত্রায় পানি পান করে থাকেন এবং এমনটা করতে গিয়ে পানি প্রায় গিলে গিলে খান এভাবে পানি পান করলে শরীরের ভেতর হঠাৎ করে চাপ দেয় যার ফলে বিভিন্ন অঙ্গে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে তাই সব সময় অল্প অল্প করে পানি পান করতে হবে।

৭. পানির স্বাভাবিক কিংবা অল্প একটু গরম থাকলে এটি আপনাকে অন্যরকম তৃপ্তি অনুভূতি এনে দেয়। আপনি যদি বরফ ঠাণ্ডা পানি পান করেন তাহলে মুখে তো বটেই পাকস্থলীতে ও ধাক্কা দেয় খাবারের সঙ্গে ঠান্ডা পানি খাওয়া হজম প্রক্রিয়ায় বিষাক্ত অনুভূতির সৃষ্টি করে সুতরাং সব সময় হালকা গরম পানি পান করার চেষ্টা করুন এটা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী।বেশি বেশি পানি খেলে ভাইরাসজনিত রোগের আশঙ্কা কমে যায় শরীরে পানির মাত্রা যত বাড়তে থাকে প্রস্রাবের মাত্রাও তত বেড়ে যায় ফলে ক্ষতিকর জীবাণু শরীরে বাসা বাঁধার সুযোগ পায় না তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করুন।
কিডনি বাঁচাতে পানি খাওয়ার সঠিক নিয়ম-drinking water to save the kidneys ---ড. ফারুক আহমেদ

আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ যদি কোথাও বুঝতে অসুবিধা হয় অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন এবং কেমন লাগলো তা কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।

বি: দ্র: আপনি যদি এইরকম আর্টিকেল লিখে টাকা আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইটের অ্যাডমিনের সাথে যোগাযোগ করুন। ফেসবুকে যুক্ত হওয়ার জন্য নিচের ছবিতে টাচ করুন।
mm mahadi hasan
MM. Mahadi Hasan


Post a Comment

1 Comments