পানি দিয়ে লোহা কাটা সম্ভব, নতুন আবিষ্কার।
আমরা
সবাই কোন জিনিস সহজ হলে বলি এটা তো পানির মতো সহজ। সত্যি কি তাই? পানি
অনেক সহজ,তরল তাইনা?
কিন্তু
এবারে এই আর্টিকেলটিতে থাকছে
- *পানি দিয়ে লোহা বা পৃথিবীর সবথেকে কঠিন প্রস্তুতিও চোখের নিমিষে কেটে ফেলার গল্প।
- * নিখুঁতভাবে সিএনসি মেশিনের মাধ্যমে অসাধারণ সব নকশা করার তথ্য।
- *মেশিনের মাধ্যমে হাতের লেখা মুহূর্তের মধ্যে কপি করার তথ্য।
তাহলে
চলুন শুরু করি------
এই
ছবিটি দেখুন কিভাবে পানিতে শক্ত ধাতু কেটে ফেলছে । এখানে অবাক করে পানি দিয়ে
পানির মতো সহজ করেই কেটে ফেলছে শক্ত লোহা। জানেন কি? ঠিক
কি কারণে পারি নরম থেকে বিপরীত রূপ ধারণ করতে পারে?
এভাবে শক্ত জিনিস কাটতে ব্যবহার করা হয় পানির গতি। আর এ মেশিন কে বলা হয়
ওয়াটার জেট কাটিং মেশিন। এই মেশিনের ব্যবহার করা হয়েছে তাও ধাতু দিয়ে তৈরি। এর
নাজেলের ভিতর দিয়ে প্রচন্ড গতিতে পানি বের করা হয়। আর গতি এত বেশি হয় যে, যে
কোন শক্ত ধাতু হোক না কেন তা হার মেনে যাবে। নাজেলটি লাগানো থাকে একটি কম্পিউটার
কন্ট্রোল সিএনসি মেশিনের সাথে আর কম্পিউটার প্রোগ্রামের দিক নির্দেশ অনুসারেই
কাটতে থাকে যে কোনো শক্ত বস্তু।
এখন
হয়তো আপনাদের মাথায় একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে!!!
এই
মেশিনটির গতি কত ?
কত
হয়ে থাকে মেশিনের গতি যে এত নিখুত ভাবে কাটতে পারে যেকোনো জিনিস।
তাহলে
চলুন জানা যাক এই মেশিনের আসল গতি কত?
আমরা
সচরাচর ঘরে যে কল ব্যবহার করে থাকি তার গতি থাকে প্রায় 75 পিএসআই
কিন্তু ওয়াটার জেট কাটার মেশিনের গতি থাকে প্রায় 70,000 পিএসআইয়ের মত।
এখনো
আমাদের দেশে অনেকে রয়েছে যারা মেশিন দিয়ে এবং হাত দিয়ে খুব কষ্ট করে বিভিন্ন
ধরনের ধাতব জিনিসের ডিজাইন করে। কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানেন! এরকম
সি এন সি মেশিনের মাধ্যমে মুহূর্তেই কেটে ফেলা যাচ্ছে
এবং নকশা করা যাচ্ছে যে কোন ধাতব বস্তুতেই।
আমাদের
মধ্যে অনেকের মাথায় এই চিন্তা আসতে পারে যে আমার যে খাট টি রয়েছে সেটা যদি আমার
মনের মত ডিজাইন করা থাকত!
কিন্তু
তাতো সম্ভব নয়। কারন মানুষ অনেক সময় পারে না মনের মত করে ডিজাইন করতে। কারণ সব
মানুষ তো আর সূক্ষ্ম কাজ করার মতো শিল্পী না ।কিন্তু সিএনসি মেশিনের মাধ্যমে আপনি
চাইলে কাঠের উপরে যে কোন ধরনের ডিজাইন করতে পারবেন । আপনি শুধুমাত্র একটি পিকচার
সেট করে দিবেন এবং ডিজাইনটি সিএনসি প্রোগ্রাম এর সাথে সেট করে দিবেন। তাহলেই
দেখবেন সিএনসি মেশিনের মাধ্যমে কাটার কি সুন্দর করে আপনাকে ডিজাইন করে দিচ্ছে। যা
হবে দ্রুত গতিতে এবং অনেক নিখুঁত অনেক সুন্দর।
তাহলে
বন্ধুরা বুঝতেই পারছেন মানব সভ্যতা আজ কোন দিকে যাচ্ছে । যে ডিজাইন গুলো আগে মানুষ
মাসের-পর-মাস নিখুঁতভাবে করত সে ডিজাইন মেশিন আজ কয়েক ঘন্টায় করে দিচ্ছে ।
সর্বশেষ
সিএনসি মেশিন এর আরেকটি কাজ।
এই
কাজটি সত্যি আপনাকে অবাক করে দেবে! আপনার যেকোন হাতের লেখা আপনি যদি সিএনসি
মেশিনের ভিতরে দেন তাহলে মুহূর্তের ভিতর সিএনসি মেশিন সেটি কপি করে দেবে এবং
যেকোনো ধরনের হাতের লেখাই আপনি যে কোন কলম দিয়ে লিখতে পারবেন। কি মজাটাই না??? আর
এই ক্ষেত্রে সব থেকে দুঃখ জনক ঘটনা হলো ,
যেকোনো মানুষের সিগনেচার-ই
আপনি কপি করতে পারবেন ঠিক সেরকম কালির কলম আপনার সিএনসি মেশিনে লাগিয়ে।
আসলে
সিএনসি মেশিন এর কপি করা টা হয়তো আমাদের ক্ষেত্রে খারাপ প্রভাব ফেলবে কিন্তু আপনি
জানেন তো ,প্রতিটা জিনিসের-ই খারাপ এবং ভালো দিক থাকে।
আমি আশা করি যে আপনারা সবাই বিজ্ঞান ভালো কাজে লাগাবেন। বিজ্ঞানের এত পরিশ্রমের
ফসল কখনো খারাপ কাজে ব্যবহার করবেন না। কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানান । সবাইকে অনেক
ধন্যবাদ।
আপনি যদি কোন ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখান থেকে টাকা আয় করতে চান বা এরকম ওয়েবসাইটে আপনার লেখা পাবলিশ করতে চান তাহলে অবশ্যই যোগাযোগ করুন।(ছবির উপরে ক্লিক করুন)
0 Comments