ষাট গম্বুজ মসজিদের অজানা ইতিহাস-shat gombuj mosjid-studyhouse365


মুসলিম স্থাপত্য শিল্পের এক অনুপম নিদর্শন ষাট গম্বুজ মসজিদ


ষাট গম্বুজ মসজিদের অজানা ইতিহাস-shat gombuj mosjid-studyhouse365- mm mahadi hasan

ষাট গম্বুজ মসজিদের অজানা ইতিহাস-shat gombuj mosjid-studyhouse365
হযরত খানজাহান আলী রহমাতুল্লাহ আলাইহির শ্রেষ্ঠ কীর্তি ষাট গম্বুজ মসজিদ।এই মসজিদটি এক অপূর্ব স্থাপত্যকলার নিদর্শন । পিরোজপুর রুপসা মহাসড়কের পাশে খানজাহান আলী রহমাতুল্লাহ আলাইহির কবর থেকে প্রায় দেড় মাইল উত্তর-পশ্চিম দিকে সুন্দর ঘোড়া গ্রামেতে মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদের উত্তর দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে পাকা সড়ক পশ্চিম পাশে ঐতিহাসিক ঘোড়া দিঘি। স্থাপত্য কৌশল আর লাল পোড়া মাটির উপর সুনিপুণ লতাপাতার অলঙ্করণে নানারূপে কারুকার্যখচিত মসজিদের ভেতরে বাইরে অভাবনীয় সৌন্দর্যের সমাবেশ ঘটেছে। বাংলাদেশ এত বড় ঐতিহাসিক মসজিদ আর নেই বললেই চলে।

এই মসজিদটির দৈর্ঘ্য ১৬০ ফুট এবং প্রস্থ ১০৮ ফুট ।পূর্ব পশ্চিমের সাতটা করে এগারটি সারিতে মোট ৭৭টি গম্বুজ রয়েছে। এর মধ্যে মাঝের এক সারিতে ৭ গম্বুজের উপরিভাগ চৌকনা বাকি ৭০ টির উপরিভাগ গোলাকার। ষাট গম্বুজ মসজিদের ভিতরে পূর্ব-পশ্চিমে দশটি সারিতে ৬ টা করে মোট সাতটি স্তম্ভ রয়েছে।স্থানীয় লবণাক্ত জলবায়ুর প্রভাবে যাতে ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে কারণে মসজিদের স্তম্ভের নিচে চার ফুট পর্যন্ত চারপাশে পাথরের আস্তরন দেয়া হয়েছে।

ঐতিহাসিকদের ধারণা হযরত খানজাহান আলী রহমাতুল্লাহ আলাইহির জৌনপুরের দক্ষ নির্মাণ শিল্পে নেই এই সুবিশাল সমস্থিতি নির্মাণ করেছিলেন। তবে কত সময় এবং কত লোকের নির্মাণ কাজ করেছেন তা জানা যায়নি। মসজিদের প্রায় আড়াই হাজার লোক একসঙ্গে সালাত কায়েম করতে পারে। অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকে অযত্নে-অবহেলায় এটি জঙ্গলাকীর্ণ হয়ে পড়ে। ১৯০৪ সালের পুরাতত্ত্ব বিভাগ পত্রিকাটির সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় আনা হয় এরপর মসজিদ থেকে কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে।

চারকোণে ৪টি গম্বুজ সহ ৮১ টি গম্বুজ থাকা সত্ত্বেও নাম ষাটগম্বুজ হলো কেন?

প্রশ্নটা জায়গায় স্বাভাবিক!
ছাদ গম্বুজ দিয়ে তৈরি সে কারণেই ছাদ থেকে ষাট গম্বুজ ।আবার কারও মতে ৭টি শাড়িতে গম্বুজ থেকে ষাট গম্বুজ হতে পারে।

মসজিদের চারপাশে বেস্ট প্রাচীর ছিল যার পাশে এখন নতুন করে দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। এতে মসজিদ ছিল না। হযরত খানজাহান আলী রহমাতুল্লাহ আলাইহ এর দরবারে হিসেবেও ব্যবহৃত হতো ।এখান থেকে তৎকালীনদক্ষিণাঞ্চলীয় স্বাধীন-সার্বভৌম ইসলামিক কল্যাণ রাষ্ট্রে পরগনা খলিফাতাবাদ রাষ্ট্র পরিচালনা করা হতো। প্রতিদিন দেখার জন্য দেশ-বিদেশের হাজারো পর্যটকের ভিড় জমায় ।বর্তমানে ষাট গম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গণে এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন হলো জাদুঘর ।১৯৯৩ সালে এখানে জাদুঘর স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়। জাদুঘরে ২৮ টি গ্যালারি রয়েছে। এখানে শাজাহান আলী রহমাতুল্লাহ আলাইহির শতাধিক নিদর্শন সংরক্ষিত আছে । সপ্তাহের শনিবার ছুটির দিন ছাড়া বাকি ছয় দিন উন্মুক্ত রাখা হয় ঐতিহাসিক বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ । প্রিয় পাঠক! চাইলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন মুসলিম স্থাপত্য শিল্পের এক অনুপম নিদর্শন ষাট গম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে। 


বিশ্বরেকর্ড গড়লো বাংলাদেশের ২০১ গম্বুজ মসজিদ বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
  
ষাট গম্বুজ মসজিদের অজানা ইতিহাস-shat gombuj mosjid-studyhouse365
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সম্পূর্ণ পড়ে কেমন লাগলো কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন।

বি:দ্র: আপনি যদি এইরকম আর্টিকেল লিখে টাকা আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই এই ওয়েব সাইটের এডমিন এর সাথে যোগাযোগ করবেন। ফেসবুকে যুক্ত হতে নিচের ছবিতে টাচ করুন।

https://web.facebook.com/profile.php?id=100011572894835


Post a Comment

0 Comments